আপনি যদি Bengali sad love story খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন| আমরা মন দিয়ে অনেকেই ভালোবেসে ফেলি আমরা তাদের জন্য ভালো ভেবে থাকি কিন্তু অনেক চেষ্টা করার পরেও সব ভালোবাসা সফল হয় না আমরা অনেক কষ্ট পেয়ে যাই এই ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে| আজ আমরা সেই কষ্টের কিছু ভালোবাসার গল্প আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব আপনাদের আশা করি ভালো লাগবে এই bengali sad love story গুলি|চলুন শুরু করা যাক Best Sad Love Story In Bengali |
Bengali sad love story
আরো পড়ুন – Bengali Love Poem
আরো পড়ুন – Bengali love story
একটা নীরব প্রেমের কাহিনী
একটা নীরব প্রেমের কাহিনী ছেলে আর একটি মেয়ে প্রতিদিন বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকতো বাসের জন্য,ছেলেটি ছিলো মেডিকেল কলেজের ছাত্র এইজন্য মেয়েটি ছেলেটিকে পছন্দ করতো না,কারন মেয়েটি মেডিকেল কলেজে চান্স পাইনি,এজন্যই মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের সহ্য করতে পারতো না,,দুইজন একই বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকতো আর ভালোনালাগা সত্ত্বেও দুইজন দুইজনকে দেখতো,,আর এইভাবে ছেলেটি মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলে কিন্তু কনোদিন বলতে পারিনি,,ছেলেটি যদি কনোদিন বাসে মেয়েটিকে দাড়িয়ে থাকতে দেখত তাহলে নিজের ছিটটাকে ছেড়ে দিয়ে দাড়িয়ে থাকতো,,এইভাবে কিছুদিন চলার পরে মেয়েটি ছেলেটিকে ভালোবাসতে শুরু করে,,একদিন মেয়েটি চিন্তা করলো যে আজ সে ছেলেটিকে বলবে তার ভালোবাসার কথা কিন্ত ভাবলো কয়দিন পর ভালোবাসা দিবস আর সেইদিন কেই কথাটা বলবে,,দেখতে দেখতে দিনটি চলে এলো,,মেয়েটি কনোদিন ফুল কেনেনি,,কিন্তু আজ সে সেজে ফুল হাতেকরে সেই বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে আছে ছেলেটির জন্য,,অনেক সময় অপেক্ষা করার পরেও যখন ছেলেটি আসলোনা তখন মেয়েটি নিজেকে বলতে লাগলো আমি কি বোকা হয়তো ছেলেটির girlfriend আছে আর তাকে নিয়েই সময় কাটাচ্ছে,,আর এটাভেবে মেয়েটি ওখান থেকে চলেগেলো,,এরপর ঐ বাসস্ট্যান্ডে আর কখনো আসতোনা,,আর বাসে যাবার সময় মেয়েটি তাকিয়ে দেখতো ছেলেটি ওখানে আছে কিনা কিন্তু পেতোনা,,এর কিছুদিন পর মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায় অন্য একটা ছেলের সাথে,,বিয়ের অনেক দিন পর মেয়েটি তার স্বামীর আলমারিতে কিছু একটা খুজছিল হঠাৎ একটা ছবি আর একটা চিঠি পেলো,,মেয়টি ছবিটা দেখে চমকে গেলো কারণ ছবিটা ছিলো সেই ছেলেটার,,এরমধ্য ে মেয়েটির স্বামী চলে আসলো মেয়েটি জিঙ্গাসা করলো ছবিটির সম্পর্কে,,তখন বললো গতো ভালোবাসা দিবসে ছেলেটি কয়টি ফুল আর একটি চিঠি হাতে করে একটা মেয়র কাছে যাচ্ছিলো,,কিন্তএক রোড এক্সিডেন্টে সে মিত্যু বরণ করেন,,একথা শুনে মেয়েটি চিঠি হাতে নিয়ে ভিশন কাদতে লাগলো এটা দেখে মেয়েটির স্বামী জানতে চাইলো কি হইয়েছে তখন মেয়টি বললো আমি সেই মেয়ে,,এটা শুনে মেয়েটির স্বামী বললো ছেলেটি তোমাকে ভিশন ভালোবাসতো সাদিয়া। ,,, ,,, আর ছেলেটির নাম হাকিম
সত্তিকারের ভালবাসা
REALITY'S আপনি প্রেম - ভালোবাসায় একদম বিশ্বাস করেন না । যদি প্রশ্ন করি কেনো করেন না ? তাহলে আপনার উত্তর হতে পারে এরকম । ↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓ ১। আজকাল সত্যিকারের প্রেম - ভালোবাসা বলতে কিছু আছে নাকি ? ২। বর্তমান যুগের প্রেম বলতে কিছু নেই বন্ধু। ৩। প্রেম গল্পেই সুন্দর, বাস্তব জীবনে নয় । আমিও আপনার সাথে একমত । তাহলে আপনাকে আরো কিছু প্রশ্ন করি, রোমান্টিক নাটক - মুভি দেখলে, আপনার ভেতর টা মোচড় দিয়ে উঠে কেনো ? ভালোবাসার গল্প গুলো পড়ে কারো ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছে জন্মায় কেনো ? সেলেব্রিটিদের উপর এতো ক্রাশ খাচ্ছেন কেনো ? আপনার মনে তো ভালোবাসা নেই, তাহলে এরকম হয় কেনো ? কেউ কেউ বলবেন আমার এরকম কিছুই হয় না ? আসলেই কি আপনার এরকম হয় না ? তাহলে খানিক বাদেই কেনো উদাস মনে হচ্ছে নিজেকে ? বন্ধুরা, আমাদের সবার ভেতর সুপ্ত প্রেম - ভালোবাসা লুকিয়ে আছে, কেউ সেটা প্রকাশ করি, আবার কেউ করি না । একেক জনের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ একেক রকম । তাইতো আমাদের অবুঝ মন রোমান্টিক গল্প - নাটক গুলো দেখার পর কোনো বিশেষ মানুষের টেক কেয়ার পেতে চায়, কোনো একটা মানুষের টেক কেয়ার করতে চায়, তাকে মনের ভিতর জমানো ভালোবাসা গুলো উজাড় করে দিতে চায় । আমি কিন্তু শিউর আমার এই লিখা টি তোমার মনের ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে, সেই বিশেষ মানুষটির নাম যাকে তুমি ভালোবাসো । তাই বন্ধুরা, নিজের মনের ভালোবাসা কে আর কতো আঁড়াল করে রাখবে ? উজাড় করে দাও । ভালোবাসো প্রিয় মানুষটিকে, তার পথ চলার বন্ধু হয়ে । ভালোবাসা থেকে আমরা কেউ লুকিয়ে থাকতে পারি না, শত চেষ্টা করলেও পারি না । হয় ভালোবাসা আমাদের খুঁজে নেয়, নয়তো সেই মানুষটি ।
Heart touching sad love story in bangla
Heart touching sad love story in bangla নিলীমা তৈরি হচ্ছে, তানিয়াদের বাড়িতে যাবে, সামনেই তানিয়ার বিয়ে তাই আজ ওর বাড়িতে ব্যাচেলার পার্টি আছে। নিলীমা তৈরী হয়ে যথা সময় তানিয়ার বাড়ি পৌঁছলো, নিলীমা গিয়ে দেখে সৃজা, রিমি, মল্লিকা, নীলা, মৌলী ও চলে এসেছে। সবাই খুব খুশি, সবাই আজ তানিয়ার বাড়িতেই থাকবে। সবাই রাতের খাবার শেষ করে তানিয়া ঘরে গিয়ে বসল। অনেক দিন পর আড্ডা দিল ওরা, আসলে কাজের ব্যস্ততায় আগের মত সেই রকম আর আড্ডা দেওয়া হয় না। যাই হোক নাচ, গান, আর সাথে একটু বিয়ার বেশ জমে উঠেছে সাত বান্ধবীর আসর। হঠাৎ রিমি বলে উঠলো " চল আমরা একটা মজার খেলা খেলি " সবাই বললো - কি খেলা ? " রিমি বললো আমি কয়েকটা কাগজের টুকরোতে কিছু শব্দ লিখব। একজন একটা করে কাগজ ওঠাবে আর সবাই সেই বিষয়টার ওপর বলবে । সবাই রাজি হলো.... যথারীতি রিমি কাগজে বিষয় গুলো লিখল। নিয়ম অনুযায়ী একটা করে কাগজ ওঠানো হচ্ছে আর সবাই সেই বিষয়ে বলছে.... স্কুল, বন্ধু, পোশাক, স্বপ্ন, প্রেম আর ও নানান বিষয়। এবারে যে কাগজ টা উঠলো সে টা তে লেখা ছিল " এক্স বা প্রাক্তন " । রিমি বললো সবাই সবার এক্স বা প্রাক্তন কে নিয়ে মতামত দে .... রিমি বললো সৃজা তোকে দিয়ে শুরু করি.... সৃজা :- তুই আর বিষয় পেলি না.... আমার এক্সের কথা মনে হলেই আমার গা জ্বলে যায় একদম। লম্পট একটা। আমি ওর বিষয়ে কিছু বলতেই চাই না। নীলা :- আমার এক্স তো খুব ভালো ছিল শুরুতে কিন্তু পরে যে রূপ দেখালো বাপ রে। তার থেকে এখন আমি ভালো আছি একা। তানিয়া :- আমি আর এক্সকে নিয়ে কি বলবো আমি যাকে ভালোবেসেছি তার সাথেই তো আমার বিয়ে, তাই আমার এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই । ভীষণ কষ্টের প্রেমের গল্প সবাই বলল তুই সত্যিই খুব লাকি রে। তানিয়া ছাড়া বেশির ভাগ তারা তাদের এক্স কে আজে বাজে কথা বললো, সবার শেষে পালা এলো নীলিমার..... রিমি :- নিলীমা, এবার তোর পালা, এবার তুই বল এক্স বা প্রাক্তন কে নিয়ে তোর কি মতামত ..? নিলীমা :- ( একটু মৃদু হেসে বলল ) রিমি এক্স আর প্রাক্তন একদমই আলাদা দুটো বিষয়, এক্স আর প্রাক্তন এর মধ্যে কোনো মিল নেই, যাকে আমরা এক্স বলি সে কখনো আমাদের প্রাক্তন হতে পারে না, আর যে প্রাক্তন তাকে এক্স বলা যায় না রে। রিমি ও বাকিরা বলল এক্স আর প্রাক্তন আলাদা কেন হবে ? দুটো তো একই ব্যাপার শুধু এক্স শব্দটা ইংরেজি আর প্রাক্তন শব্দটা বাংলা আর কিছুনা। নিলীমা বললো নারে দুটো একদম আলাদা। তোদের মতে কি জানি না কিন্তু আমার কাছে দুটো বিষয় রাত দিনের তফাৎ আছে । সবাই বললো তাহলে বল শুনি একটু..... নিলীমা :- এক্স হলো সে যার কথা মনে হলে আমাদের রাগ হয়, ঘৃণা হয়, মনে হয় এই রকম মানুষ কে আমি ভালোবেসেছিলাম । কিন্তু প্রাক্তন এর ক্ষেত্রে সেটা হয় না । প্রাক্তন হলো সে, যার কথা মনে পরলে চোঁখের কোনে জল আর ঠোঁটের কোনে একটু হালকা হাসি আসে । রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ কোনো ফুচকার দোকানে কোনো প্রেমিক - প্রেমিকাকে ফুচকা খেতে দেখে মন খারাপ হওয়া, কোনো পছন্দের ফুচকার দোকান যে খানে সব সময় ফুচকা খাওয়া হতো বা কোনো ফাস্টফুডের দোকান যে খানে বেশিরভাগ সময় দুজন মিলে ফাস্টফুড খাওয়া হতো। রাস্তা দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ যদি কোনো প্রেমিক - প্রেমিকা যাচ্ছে, তাদের দেখার পর যার কথা প্রথম মনে আসে যার না থাকার কষ্ট টা অনুভব হয় সে হলো প্রাক্তন। যে মানুষটা জীবন থেকে চলে গেছে, কিন্তু হঠাৎ তার গলার আওয়াজ শোনা গেছে বলে মনে হওয়া মনের ভুল। বা কখনও রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় মনে হওয়া " একবার যদি দেখা হতো "। বিশেষ কোনো দিনে মনের অজান্তেই তার পছন্দের রঙের পোশাক পরা। রাতের বেলা যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে বা অন্য কোনো সময় ফেসবুক বা ইউটিউব এ কোনো দুঃখের ভিডিও বা অসমাপ্ত কোনো ভালোবাসার গল্পো শোনার বা দেখার সময় যার কথা মনে পরতেই চোখের কোনে জল আসে বা তার কথা মনে হওয়ায় কোনো সময় মনে হয় যে চেঁচিয়ে একটু কাঁদতে পারলে হয়ত ভালো লাগতো। যার কথা মনে হলে " I would really loved you " না " আমি তোমাকে সত্যিই ভালবাসতাম " কথাটা আসে মুখ দিয়ে আর চোখের কোণে জল । Bengali Sad Love Story কথা গুলো শোনার পর নিলীমার বাকি বান্ধবীরা কেমন জানি শান্ত হয়ে গেছে । হঠাৎ করে সৃজা বললো তুই এত সুন্দর করে কি ভাবে বলতে পারলি রে, তোর কথা শুনে মনে হয় আমরা হয়ত সত্যিই ভালবাসতে পারিনি, তাহলে এই ভাবে বলতে পারতাম না । নিলীমা বলে উঠলো আমি বলতে পারলাম কারন " আমি যে তাকে সত্যি ভালবাসতাম " । তানিয়া লক্ষ্য করলো নীলিমার চোখে জল...… তানিয়া :- কিরে ... নিলীমা তোর চোখে জল কেন ? নিলীমা :- কারণ, আমি যে তাকে সত্যিই ভালবাসতাম, আর এখনো হয়ত তার জন্য ভালোবাসা টা রয়ে গেছে, সে সারাজীবন আমার প্রাক্তন.!
উপসংহার
আমরা যাকে ভালবাসি সবসময় হয়তো আমরা তাদের পাইনা সত্যি কারের ভালোবাসা অনেক কষ্টের হয়| কিন্তু আমরা সবসময়ই চাই সে যেন ভালো থাকে সুখে থাকে|আমরা হয়তো সেই ভালবাসাকে কখনো ভুলতে পারবো না এরি নাম হয়তো ভালোবাসা| আশা করি আমাদের এই sad love story গুলি আপনাদের ভাল লেগেছে