স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী | Swami Vivekananda Biography in Bengali

আপনি কি মহান স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী সম্পর্কে জানতে চান? সুন্দর, আপনি ইন্টারনেটের উপলব্ধ সেরা সম্পদ গুলির একটিতে এসেছেন| Swami Vivekananda Biography in Bengali.

তাহলে জেনে নিন এই আর্টিকেলে আপনি কি কি জানতে পারবেন

আচ্ছা আপনি একটা কথা বলুন আপনি কি ভগবান কে দেখেছেন, কিছু এইরকমই প্রশ্ন সবসময় জিজ্ঞাসা করতেন স্বামী বিবেকানন্দ ছোটবেলায়। স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বের সমস্ত সুখ-সুবিধা ছেড়ে শুধুমাত্র লাঠিও বাটি নিয়ে পুরো ইন্ডিয়া ঘুরে ছিলেন। সে ভগবানকে দেখতে চেয়ে ছিলেন এবং খুবই তাড়াতাড়ি এতে সফল হয়ে গিয়েছিলেন।

এই আর্টিকেলে আপনি স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী সম্পর্কে জানতে পারবেনSwami Vivekananda Biography in Bengali

ছোটবেলায় কেমন ছিলেন?
শিক্ষাজীবন
মানুষ ও সমাজের প্রতি ভালোবাসা স্বামী বিবেকানন্দের
সন্ন্যাস ধর্ম কেন ও কিভাবে নিলেন
আমেরিকা ভ্রমণ
স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যু কিভাবে হয়
স্বামী বিবেকানন্দের কিছু মজাদার অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা
মনীষীদের মন্তব্য স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি

এই আর্টিকেলে আপনি এই সব জানতে পারবেন আরও এর সাথে অনেক প্রশ্নের উত্তর জানবেন.

তার আগেই জেনে নিন স্বামী বিবেকানন্দের পরিচয়

নামস্বামী বিবেকানন্দ
বাল্য নামনরেন্দ্রনাথ দত্ত
পিতাবিশ্বনাথ দত্ত
মাতাভুবনেশ্বরী দেবী
গুরুরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
জন্মতারিখ১২ ই জানুয়ারি ১৮৬৩
জন্মস্থানউত্তর কলকাতা
কে ছিলেনহিন্দু মহান সন্ন্যাসী আধ্যাত্মিক গুরু লেখ সংগীত দত্ত
শিক্ষাসাহিত্য পাশ্চাত্য, দর্শন, ধর্ম, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান ও শিল্পকলা
বিদ্যালয়ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন
বিশ্ববিদ্যালয়প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ ( Calcutta )
জাতীয়তাভারতীয়
ধর্মহিন্দু ধর্ম
জাতিবাঙালি
মৃত্যু৪ ঠা জুলাই ১৯০২
Swami vivekananda Biography in Bengali

বিবেকানন্দের ছোটবেলা ( নরেন্দ্রনাথ )

swami vivekananda biography in bnegali

আরো পড়ুন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী|

তাহলে এসো কথা বলি তার শুরু জীবনের স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ সালে মকর সংক্রান্তির দিন হয়েছিল। মকর সংক্রান্তি একটা উৎসব ঐদিন গঙ্গা নদীর কিনারায় প্রচুর লোক পূজা করতে আসত|

স্বামীজীর ঘর থেকে ওই পুজো আরোতি আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল, স্বামীজীর মা ভগবান কে খুব মানতো ও পূজা পাঠ করতেন, যাতে তার এক ছেলে হয় এবং সে তার পরিবারের নাম উঁচু করে। একদিন স্বামী বিবেকানন্দের মা ভুবনেশ্বরী দেবী স্বপ্নে ভগবান শিবকে দেখলেন তিনি দেখলেন যে ভগবান তাকে বলছে যে সে তার ছেলের রুপে জন্মগ্রহণ করবে, এই কথা শুনে স্বামীজীর মা খুবই খুশি হন ও তার চোখের খুশির জল পরছিল|

এইজন্যই তার ছেলের নাম বীরেশ্বর যা ভগবান শিবের আরেক নাম রাখতে চেয়েছিল কিন্তু তার পরিবার স্বামীজীর নাম নরেন্দ্রনাথ রাখলেন|স্বামীজীকে সবাই ভালোবেসে নরেন বলে ডাকত, কে জানতো বড় হয়ে স্বামী বিবেকানন্দ হবে যার সবাই এত সম্মান করবে |

হিন্দু ধর্মের জন্য তার ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই পরিস্কার দেখা যেত|তার জন্ম কলকাতার দত্ত পরিবারে হয়েছিল এবং তাঁর পরিবারের সবাই খুবই বুদ্ধিমান ও লেখাপড়া ছিল| আর প্রায়ই অন্যদের সাহায্য করত যার কারণে স্বামীজীর খুব নাম ছিল সবাই স্বামীজীকে খুব মানতো,

তার পিতা কলকাতার হাইকোর্টের লয়ার ছিলেন|নরেন তার পিতার মতো কম দাদুর মত বেশি ছিল| তার পিতা সব সুখ সুবিধা ভালো লাগতো কিন্তু নরেন সাধুর মত সিম্পল থাকতে পছন্দ করত|

তার জীবনের প্রথম শিক্ষক তার মা ছিলেন তার মা তাকে অ্যালফাবেট আর ইংলিশের ওয়ার্ড শেখাতো, সে তাকে রামায়ণ ও মহাভারতের গল্প শোনাতো, ছোট নরেন কে রামজির গল্প খুব পছন্দ হতো রাম নাম নরেনের হিরোর মত লাগত, সে তার স্ত্রী সীতাকে বাঁচানোর জন্য লড়াই অব্দি করেছিল|

নরেন সব বাচ্চা থেকে আলাদা ছিল মনে হয় তার জন্য তার স্বপ্ন আলাদা আসত| আর নরেন ভাবতো সবাইকেই এইরকমই স্বপ্ন আসে এটা কোন বড় কথা নয়| হঠাৎ একবার তার স্বপ্নের চকচকে বল দেখা গিয়েছিল, যেখান থেকে খুব আলোর রশ্মি বের হচ্ছিল, যার রং বদলাতেই আছে ওই বল ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল এবং এ পয়েন্টে এসে ফেটে গিয়েছিল, সেখান থেকে বেরোনো রশ্মি সাদা রং তার উপরে পড়তে থাকে এবং তাকে পুরোপুরি ঢেকে দেয়|

শিক্ষাজীবন

যখন স্বামী বিবেকানন্দ (নরেন্দ্রনাথ) বয়স ৮ বছর তখন সে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন (১৮৭১ – ১৮৭৭) এবং নরেন ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুবই মেধাবী ছিলেন|এরপর নরেন তার পরিবারের সঙ্গে রায়পুর চলে যায় এবং ওখানে বাড়িতেই দুই বছর পড়াশোনা করে|

এরপর রায়পুর থেকে ফিরে আসার পর ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে মেট্রোপলিটন স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স পাশ করে নরেন্দ্রনাথ প্রথমে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন।

এরপর ১৮৮০ তে প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর কলকাতার সুপ্রতিষ্ঠা কলেজ স্কটিশ চার্চ কলেজ এ ভর্তি হন. এখানে তিনি পাশ্চাত্য যুক্তিবিদ্যা, পাশ্চাত্য দর্শন ও ইউরোপীয় ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেন, কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করার সময় পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।

আপনি কি জানেন একদিকে তিনি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ যেমন ভগবদ্গীতা এবং উপনিষদ পড়েন এবং অন্যদিকে ডেভিড হিউম, হার্বার্ট স্পেন্সার প্রমুখের পশ্চিমা দর্শন এবং আধ্যাত্মিকতা|

আরো পড়ুন – নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বায়োগ্রফি 

মানুষ ও সমাজের প্রতি ভালোবাসা স্বামী বিবেকানন্দের

ছোটবেলা থেকেই আলাদা আলাদা ধর্ম যেমন হিন্দু মুসলিম ধনী গরিবের জন্য প্রশ্ন তুলতে থাকতো|একদিন তার পিতার অফিসে টোবাকো পাইপের বক্স দেখতে পায়, এটা তার পিতা ক্লায়েন্টের জন্য ছিল আর আলাদা আলাদা হিন্দু কাস্ট এর বক্স ও মুসলিমের জন্য আলাদা বক্স রাখা ছিল, নরেন প্রত্যেক বক্স থেকে টোবাকো পাইপ বের করে ট্রাই করল, তার পিতা যখন তাকে দেখল তাকে খুব বকলো কিন্তু নরেন বলল আমাকে তো কোনো আলাদা কিছু মনে হলো না|

নরেন কে সব সময় সব কথা জানার ইচ্ছা থাকতো একবার সে তার পিতাজি কে জিজ্ঞাসা করলো আপনি আমার জন্য কি করেছেন ? তার পিতা খুবই বুদ্ধিমান ছিলেন সে তাকে আয়নায় দেখতে বললেন আর বলল নিজেকে এই আয়নাতে দেখে বুঝতে পারবে আমি তোমার জন্য কি করেছি|

নরেন আবার একদিন জিজ্ঞাসা করল পিতাজি কে আমাকে কিরকম ইমেজ বিশ্বের সামনে রাখা উচিত ? তার পিতাজি বললো কখনো কোনো জিনিসকে দেখে সারপ্রাইজ হওনা| এই কারন ছিল সবাই এর সম্মান করা উচিত এবং কাউকে অসম্মান করা উচিত নয়, যখন সন্ন্যাস হয়ে গিয়েছিলেন মানে সাধুর মতো থাকতো তখন যে কোন রাজার মহলে বা কোন গরীবের ঘরে গেলে সে সবসময় একই রকম ব্যবহার করত|

সন্ন্যাস ধর্ম কেন ও কিভাবে নিলেন

swami vivekananda biography in bengali 1 min

নরেন যখন ছোট ছিল তাকে দু রকম স্বপ্ন এসেছিল একজন খুব লেখাপড়া মানুষ যার কাছে প্রচুর অর্থ ও সুন্দর বাড়ি ছিল ও সমাজে তার খুব নাম ছিল আর তার স্ত্রী এবং সুন্দর সুন্দর বাচ্চা ছিল|

দ্বিতীয় যে সন্ন্যাস এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরতে থাকতো তাকে সিম্পল জীবন পছন্দ ছিল এইরকম সুখ-সুবিধা তাকে খুশি দিত না, তার তো একটাই ইচ্ছা যে সে ভগবান কে জানবে ওতার আরো কাছে যাবে|ও নরেন জানত এর মধ্যে সে যেকোনো একটা হতে পারে|

নরেন খুব ভেবে দেখল আর তার মনে হল সে এক সন্ন্যাস এর মতন জীবন যাপন করবে| বিশ্বে কি আবিষ্কার হচ্ছে কে কি প্রাপ্ত করছে এতে তার কোন জানার ইচ্ছে ছিল না| তার কাছে তার একটাই লক্ষ্য ছিল সে ভগবান কে দেখবে তাকে উপলব্ধি করবে, ভগবানের সাথে দেখা করলে কেমন লাগবে|

সে চেয়েছিল যে তাকে এমন কেউ মানুষ রাস্তা দেখায় যে নিজে উপলব্ধি করেছে যে নিজে ভগবান কে দেখেছে| সেই খোঁজে সে ব্রাহ্মসমাজ যুক্ত হলেন, এবং হঠাৎ একদিন সে এই গ্রুপের লিডার এর কাছে জিজ্ঞাসা করল স্যার আপনি কি ভগবানকে দেখেছেন ?

তার কথা শুনে দেবেন্দ্রনাথ খুব সারপ্রাইজ হয়েছিল, সে নরেনের মনকে ঘোরানোর জন্য তাকে বলল তুমি সাধুর মতো তোমাকে না খুব ধ্যান করা উচিত| তার কথা শুনে নরেন উদাস হয়ে গিয়েছিল, তার মনে হয়েছিল যে রকম গুরু সে চায় এ ঠিক সেরকম নয়, সে প্রচুর লোককে জিজ্ঞাসা করল অনেক খুঁজলো কিন্তু সে যা চায় তা পাচ্ছে না|তারপর সে একদিন রামকৃষ্ণের সম্পর্কে জানতে পারল

গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস

তারপর শ্রী রামকৃষ্ণের সম্পর্কে জানলো যার মন এত পরিষ্কার আর যে এত গভীরভাবে ধ্যান করত যে ভগবানকে অনুভব করেছে| নরেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে শ্রী রামকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করেন রামকৃষ্ণ নরেনের সাথে দেখা করে খুবই প্রসন্ন হয়েছিল|

নরেন পুরো মন দিয়ে ভজন গিয়ে শোনাতো আর রামকৃষ্ণ বুঝে যায় নরেন সব বাচ্চা থেকে আলাদা| এই রকম লাগতো নরেনের চোখ সবসময় ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকতো, অন্যদের পোশাক বা তাকে কেমন দেখতে তার উপর কোন ধ্যান দিতোনা| শিক্ষক রামকৃষ্ণ খুবই খুশি ছিল যে ফাইনালি সেএমন এক ছাত্র পেয়েছেন যে তার নিজের বিচার তাকে বলতে পারে|

রামকৃষ্ণ কে ছাড়া কোন শিক্ষক কখনো বলেনি যে সত্যিই ঈশ্বরকে দেখেছেন| এবার নরেনের বিশ্বাস হয়ে গিয়েছিল যে সে যাকে খুঁজছেন তাকে পেয়ে গিয়েছিল|

একদিন সে জিজ্ঞাসা করল শিক্ষক আপনি কি ভগবান কে দেখেছেন ? রামকৃষ্ণ বলল হ্যাঁ আমি ভগবান দেখেছি যেভাবে আমি তোমায় দেখতে পারি, সেভাবে আমি ভগবান কে দেখতে পারি, ভগবানকে দেখা যেতে পারে, তার সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে|

লোক তার পরিবার টাকা-পয়সার জন্য কাঁদে কিন্তু ভগবানের এক ঝলক দেখার ইচ্ছা কারো মধ্যে নেই কেউ ভগবান কে দেখার জন্য চোখের জল ফেলে না, সত্যিই কেউ ভগবানকে দেখতে চায় সে দেখতে পারি এই কথা শুনে নরেনের মনে খুব শান্তি হলো|এইভাবে কিছুদিন চলতে চলতে রামকৃষ্ণের মৃত্যু হয়ে যায় |

এরপর সব সন্ন্যাস হতাশ হয়ে যায় এখন নরেনের বয়স 23 বছর এবার তার দায়িত্ব ছিল নতুন সন্ন্যাসীদের লক্ষ্য রাখা আর তাদের পড়ানো| নরেন মন দিয়ে সন্ন্যাসীদের পড়ান ও লক্ষ্য রাখেন| এবং ধীরে ধীরে ছাত্ররাও সাধুর মতন জীবন-যাপন করতে শুরু করে|

নরেন সব সময় পুজোপাঠ লেখাপড়া ধ্যান ভজন এইসবের লিপ্ত হয়ে যেতেন| নরেন এইসবে এত মগ্ন হয়ে যেত কখনও কখনও খাওয়া ভুলে যেত এবং সে খুবই সাধারণ খাবার খেতে যেমন শুধু ভাত নুন দিয়ে|

সে বিশ্বাস করত কোন জিনিসের লোভ ভগবানের কাছ থেকে দূরে নিয়ে যায়| তিনি খুব সাধারণ কাপড় পরতো নরেন ছাত্রদের সাথে থাকত ও তাদেরকে জ্ঞান বাড়াতো বিশ্বের আলাদা আলাদা জায়গার বই পড়ে শোনাতো আর বিজ্ঞানী প্রোটো, অ্যারিস্টোটল, বুদ্ধ, সমস্ত মানুষের ব্যাপারে বলতো এবং নরেন কর্মযোগ ভক্তি শেখাতো|

এক সময় নরেনের মনে হল যে তার ভেতরে শক্তি কে সে দেখতে চাই, এবং সে চাইছিল সব সন্ন্যাসি নির্ভরশীল হোক এইজন্যে নরেন ঐ সমস্ত সন্ন্যাসী ছেড়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে|

এটা তার সবসময়ের ইচ্ছা ছিল যে সে এক সাধুর মতন জীবন যাপন করবে| আর তার কাছে শুধু একটা লাঠি ও বাটি ছিল|এইভাবে চলতে থাকল এবং এগোতে থাকলো এইভাবে এক নরেন সন্ন্যাসী থেকে স্বামী বিবেকানন্দ তৈরি হয়েছিল|

আরো পড়ুন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী

আমেরিকা ভ্রমণ

রাজা রামনাথ স্বামীজীকে আমেরিকার শিকাগোতে যাওয়ার কথা বলল কারণ স্বামীজি যাতে Parliament of religion (ধর্ম সংসদ) এ হিন্দু ধর্মের ব্যাপারে সবাইকে বলতে পারে|এইভাবে স্বামীজি আমেরিকাতে যায়|

আমেরিকাতে স্বামীজীর অরেঞ্জ কাপড় দেখে সবাই অন্যরকম ভাবতো এর আগে এই রকম কাপড় আমেরিকার বাসি কখনো পড়েনি, যখন স্বামীজি রাস্তায় চলত ছোট বাচ্চারা তাকে অনুসরণ করতো.

ধর্ম সংসদ ১৮৯৩ এ খোলা হয়েছিল. ধর্ম সংসদের লক্ষ্য ছিল এটাই west counrty সায়েন্স আর টেকনোলজি তে কত এগিয়ে গিয়েছিল, এইজন্য পার্লামেন্টের রিলিজিয়ান লিডারদের ডাকা হয়| এই ধর্ম সংসদে 7000 এর বেশি লোক জমা হয়েছিল, গোটা বিশ্ব থেকে রিলিজিয়ান লিডার এসেছিল. এবং সমস্ত ধর্মের প্রচার এর জন্য একজন করে লিডার পাঠানো হয়েছিল,

এই ধর্মগুলি ছিলো ইসলাম, বুদ্ধ, ক্রিশ্চান, সিন্ধু, জেন ও হিন্দু প্রত্যেকে লিডারের কে সামনে এসে তাদের বক্তৃতা দিতে হবে|স্বামীজি এইসব দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এবং স্বামীজি কোন বক্তিতা তৈরি করে আনে নি, স্বামীজি জানত না এটা তার দরকার পড়বে|

স্বামীজি প্রথমবার এত লোকের সামনে বক্তৃতা দিতে যাচ্ছিলেন স্বামীজি ওখানকার পার্লামেন্টের কাজ করার টিমকে রিকুয়েস্ট করল তাকে যেন সবার শেষে ডাকা হয়, এবং শেষে স্বামী বিবেকানন্দের বলার সময় আসলো তার প্রথম শব্দ ছিল Brothers and sister of America ( আমেরিকার ভাই ও বোন )

স্বামী বিবেকানন্দের এই কথা শুনে পার্লামেন্টে থাকা সমস্ত লোক দাঁড়িয়ে স্বামীজীর জন্য হাত তালি বাজালো, এবং সবাই ভেবেছিল কেউ একজন আলাদা এসেছে সবার মনে হলো একজন পুরো মন থেকে বলছে এবং তার কথাই সত্য আছে স্বামীজি সবাইকে বলতে চাইছে যে একে অপরকে বিশ্বাস করতে ও সম্মান করতে, আমাদেরকে একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে এবং শান্তির চেষ্টা করতে হবে, কেউ আমাদের থেকে আলাদা তো কি হয়েছে আমাদের সবাইকে সম্মান করতে হবে|

স্বামীজি শুধু নিজের ধর্মের ব্যাপারে বলেনি সমস্ত ধর্মের ব্যাপারে বলেছেন, স্বামী বিবেকানন্দের এইসব কথা ও তার জিজ্ঞাসা করার কৌশল তাকে সবার ভিড় থেকে আলাদা করত|

স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যু কিভাবে হয়

স্বামী বিবেকানন্দের আস্থামা হয়ে গিয়েছিল ডক্টর স্বামী বিবেকানন্দকে নর্থ ইন্ডিয়া যেতে বলেছিল কারণ সেখানকার আবহাওয়া ভালো ছিল, এবং নর্থ ইন্ডিয়ান লোকেরা স্বামী বিবেকানন্দের সাথে দেখা করতে চাইছিলেন অনেকদিন ধরে, তাই স্বামীজি রাজি হয়ে যান এবং নর্থ ইন্ডিয়া চলে যায়| তারপর ধীরে ধীরে স্বামী বিবেকানন্দের শরীর দুর্বল হতে থাকে কিন্তু চিন্তাশক্তি খুবই পরিষ্কার ছিল|

যদি কোন সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দকে আরাম করতে বলতো স্বামীজি সেটা মানতো না| স্বামী বিবেকানন্দ বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন যে সে আর ৪০ বছর বয়স অবধি বাজবেনা স্বামী বিবেকানন্দের বয়স তখন ৩৯ বছর পাঁচ মাস হয়ে গিয়েছিল| স্বামী বিবেকানন্দ হিসাব করলে তার মৃত্যু কখন হবে, এবং স্বামী বিবেকানন্দের সব থেকে সিনিয়ার সন্ন্যাসীকে বলে দিয়েছিলেন যে তার অন্তিম সংস্কার কোথায় কারতে চায়|

শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় বেল বাজলো পুজোর সময় হয়ে গিয়েছিল স্বামীজি তাঁর নিজের কক্ষে পুজো আর ধ্যান করতে চলে গিয়েছিলেন, সে তার সেবক কে বলল সে একঘণ্টা তার কক্ষে থাকবে কেউ যেন তাকে বিরক্ত না করে. তারপর স্বামীজি তাঁর সেবক কে সাহায্যের জন্য ডাকলো কক্ষের সমস্ত দরজা জানালা খুলতে বলল যাতে তাজা হাওয়া আছে স্বামীজি বিছানায় শুয়ে পড়লেন তার সেবক ভাবলেন স্বামীজি ঘুমিয়ে গিয়েছে,

স্বামীজি সেইরকমই শুয়ে আছে স্বামীজি চেহারায় খুব শান্তি ছিল, স্বামীজীর লম্বা নিশ্বাস নিচ্ছিল এবং তার হাত-পা কাঁপতে থাকে ও চোখ মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে লাগলো. এই ঘটনা রাত নটায় হয়েছিল, তারপরের দিন সমস্ত সন্ন্যাসী স্বামীজীর শরীরকে সেই বেলুড়মঠে নিয়ে গিয়েছিল যেখানে স্বামীজি বলেছিল, হাওড়ার বেলুড়মঠ এর সমস্ত সন্ন্যাসীরা মিলি স্বামীজীর চিতায় আগুন দিল.

স্বামী বিবেকানন্দের কিছু মজাদার অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা

ধ্যানে মগ্ন নরেনের একটি ঘটনা

ছোটবেলায় স্বামী বিবেকানন্দ (নরেন) শিবের খুবই ভক্ত ছিলেন, তাই তিনি প্রায়ই শিবের পূজা ও ধ্যান করতেন, হঠাৎ একদিন নরেন এক বটগাছের তলায় বন্ধুদের সাথে ধ্যান ধ্যান খেলছিলেন হঠাৎ ‌খেলতে খেলতে একটি সাব এসে পড়ে।

সাপের ফোঁস শুনে তার বন্ধুরা চোখ খোলে দেখে এবং প্রকাশ্য সাপ দেখে বন্ধুরা ভয়ে চিৎকার করে ছুটে পালিয়ে যায়, বন্ধুদের এই চিৎকারেও নরেনের ধ্যান ভাঙ্গে নি এবং নরেনের বন্ধুরা কিছুটা দূর থেকে নরেন কে ডাকাডাকি করতে লাগলো এতেও নরেনের ধ্যান ভাঙলো না, কিন্তু ধ্যানমগ্ন নরেনের মধ্যে উঠে আসার কোনোও প্রবণতা না দেখতে পেয়ে তারা সেখান থেকে চলে যায়।

কিছুক্ষন পর সাপটি‌ও নরেনকে কিছু না করে তার পাশ কাটিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। পরে নরেন ধ্যানভঙ্গ হলে তার বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করে আর নরিন বলে আমিতো তোদের ডাক শুনতে পাইনি|ধ্যানমগ্ন অবস্থায় তার মনে হচ্ছিল যে সে যেন এক অন্য জগতের বাসিন্দা হয়ে গিয়েছে.

ঘটনা

স্বামীজী এবং চম্পক গাছ

ছোটোবেলায় নরেন তার এক বন্ধুর বাড়ির পাশে চম্পক বন্ধুদের নিয়ে খেলতো। চম্পক ফুলগুলি শিবের পছন্দ বলে বলা হয় এবং ঘটনাক্রমে স্বামীজিরও প্রিয় ছিল। এটি ছিল স্বামীজির প্রিয় গাছ এই গাছ নরেন মাথা নিচু করে দুলতো প্রায়,একদিন যখন সে গাছ থেকে দোল খাচ্ছিল, তখন বাড়ির বৃদ্ধ এবং প্রায় অন্ধ দাদা তার কণ্ঠস্বর চিনতে পেরে তার কাছে এলেন।

বৃদ্ধ ভয় পেয়েছিলেন যে ছেলেটি পড়ে গিয়ে নিজের ক্ষতি করতে পারে বা আরও খারাপ যে সে তার মূল্যবান কিছু চম্পাকা ফুল হারাবে! নরেন কে গাছ থেকে নামিয়ে বলল তুমি এই গাছে উঠ না, নরেন জিজ্ঞাসা করল কেন? বৃদ্ধ মানুষটি বলল এই গাছে ব্রহ্মদত্ত বাস করে এবং রাতে সে সাদা পোশাক পরে ঘুরে বেড়ায়,

এটা নরেনের কাছে খবর ছিল, নরেন জানতে চেয়েছিলেন এই ভূত ঘুরে বেড়ানো ছাড়া আর কী করতে পারে। বৃদ্ধ উত্তর দিলেন আর যারা গাছে উঠে তাদের ঘাড় ভেঙ্গে দেয়!
নরেন কেবল মাথা নাড়িয়া কিছু বলিল না এবং বৃদ্ধ লোকটি ভয়ঙ্কর হাসি হাসিয়া চলে গেল।

নরেনের মনে কৌতুহল জাগতে লাগলো, এবং নরেন বাড়ি গিয়ে ভাবল সে আজ রাতে ওই চম্পক গাছে থাকবে সে দেখতে চাই ব্রহ্মদত্ত দেখতে কেমন আর সে কি করে| ব্রহ্মদত্ত কে দেখার জন্য রাত্রিবেলায় চুপ চাপ করে সেই গাছে গিয়ে উঠে বসে থাকে। কিন্তু ভোর হলে গেলে কোনো ব্রম্ভদত্তের দেখা পেল না|

অন্যদিক সকাল হতেই নরেনের বাড়িতে হইচই শুরু হয়ে যায়। বাড়ির লোকও পাড়ার লোক মিলে সবাই নরেন কে খুঁজতে শুরু করে, খুঁজিতে খুঁজিতে সেই গাছের কাছে পৌঁছায় সবাই এবং সেই বৃদ্ধ লোকটি ও আসে, এবং সকলে মিলে নরেন কে জিজ্ঞাসা করল যে রাতে কেন সে এসেছিল এই গাছে ?

তখন নরেন বলেন যে ব্রহ্মদত্ত দেখার জন্য সে এই গাছে অপেক্ষা করছিল, অথচ কাউকেই সে দেখতে পায়নি। ফলতঃ খেলার আর বাঁধা র‌ইল না। তার কথা শুনে বিস্ময়ে হতবুদ্ধ হয়ে যান সকলে।

ঘটনা

নরেন্দ্রনাথ খুব সুন্দর গল্প করতে পারতেন । তার কথা এবং ব্যক্তিত্বের এমন আকর্ষণ ছিল যে, তিনি গল্প আরম্ভ করলে সবাই সব কাজ ভুলে তার কথাই শুনতেন। স্কুলের ক্লাসের শিক্ষক আস্তে দেরী হচ্ছে দেখে নরেন্ তার বন্ধুদের নিয়ে গল্প করছিল, গল্প এতো জমে যায় যে কিছুক্ষণ পরে ক্লাসে শিক্ষক এসে পড়ানো শুরু করে দেয়, কিন্তু গল্পে এত মগ্ন যে কেউ বুঝতে পারেনি, সবাই মন দিয়ে ধরনের কথা শুনছিল|কিছুক্ষণ পরে ফিসফিস শব্দ শুনে শিক্ষক ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন।

এই ঘটনা দেখে শিক্ষক বিরক্ত হয়ে তিনি এক এক করে সবাইকে পরীক্ষা করলেন যে, তিনি যা কিছু পড়াচ্ছিলেন ছাত্ররা তা শুনেছে কিনা? কেউ শিক্ষকের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারল না। এরপর নরেন কে জিজ্ঞাসা করলে নরেন সব প্রশ্নের উত্তর সঠিক দিয়ে দেয়|

কারণ নরেনের মন ছিল দু-মুখো ছিল যখন শিক্ষক পড়াচ্ছিলেন তখন শুনছিলেন এবং বন্ধুদের গল্প শোনার ছিলেন| তাই শিক্ষক বাকিদের ক্লাসে দাঁড়িয়ে থাকতে বলল| সকলের সঙ্গে নরেন্ ও উঠে দাঁড়ালেন, তখন শিক্ষক বললেন তোমাকে দাঁড়াতে হবে না। নরেন্দ্র বললেন না আমাকেও দাঁড়াতে হবে, কারণ আমিই তো কথা বলছিলাম।সকলের সাথে তিনিও দাঁড়িয়ে রইলেন।এ ই দেখে শিক্ষক অবাক হয়ে গেলেন নরেনের সততা ও বুদ্ধি দেখে|

ঘটনা

স্বামী বিবেকানন্দ পড়াশোনায় খুবই ভাল ছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের নতুন নতুন বই পড়ার খুব শখ ছিল| শিকাগোতে থাকাকালীন স্বামী বিবেকানন্দ সেখানকার এক লাইব্রেরীতে যেতেন ও প্রতিদিন একটি করে নতুন বই নিয়ে আসতেন ও তারপরের দিন ফিরিয়ে দিতেন|

এই দেখে লাইবেরিয়ার একটু সংকোচ বোধ করলেন, এবং লাইবেরিয়ার একদিন স্বামী বিবেকানন্দকে জিজ্ঞাসা করলেন আপনি যখন বইগুলো পড়তে চান না তাহলে কেন নিয়ে যান? তখন স্বামী বিবেকানন্দ বললেন আমার এই বইগুলো পড়া হয়ে গিয়েছে, তখন লাইব্রেরিয়ান আরো বিরক্তি হলেন এবং বললেন এটা সম্ভব নয়|

তখন স্বামী বিবেকানন্দ বললেন আপনি এই বইগুলোর মধ্যে যেকোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন আমাকে, এবং লাইব্রেরিয়ান বিরক্ত হয়ে তাকে কিছু প্রশ্ন করল এবং স্বামী বিবেকানন্দ সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিল. এই দেখে লাইব্রেরিয়ান অবাক হয়ে গেলেন এইরকম মানুষ এর আগে কখনো দেখেনি সে.

মনীষীদের মন্তব্য স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

যদি তুমি ভারতকে জানতে চাও তাহলে বিবেকানন্দকে জানো তারমধ্যে তুমি সবই পাবে

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

আমাকে সবচেয়ে বেশি ঔদ্ধত্য করেছিল তার চিঠিপত্র ও বক্তৃতা| তার লেখা থেকেই তার আদর্শের মূল সুরটি আমি বুঝতে পেরেছি|মানবজাতির সেবা ও আত্মার মুক্তি - এই ছিল তার জীবনের আদর্শ| মানব জাতির সেবা বলতে বিবেকানন্দ স্বদেশের ও সেবা বুঝেছিলেন|

মহাত্মা গান্ধী

স্বামী বিবেকানন্দ রচনাবলী জন্য নিশ্চয়ই কোন পরিচয় এর প্রয়োজন নাই| সেগুলি নিশ্চয়ই মর্মস্পর্শীতাই অনিবার্য|

শ্রী অরবিন্দ

আমরা বলি দেখো ! মাতৃভূমির জাগ্রত আত্মায় বিবেকানন্দ এখনো জীবন্ত| ভারতমাতার সন্তানগণের হৃদয়ে বিবেকানন্দ অধিষ্ঠিত|

চক্রবর্তী রাজ গোপালাচারী

আমরা অন্ধ ছিলাম, বিবেকানন্দ আমাদের দৃষ্টি দিয়েছেন| তিনি ভারতীয় স্বাধীনতার জনক, আমাদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক স্বাধীনতার তিনি পিতা| আমাদের সবকিছুর জন্য তাই আমরা বিবেকানন্দের কাছে ঋণী|

জহরলাল নেহেরু

স্বামী বিবেকানন্দ একদিকে যেমন অতীত ভারতের ভাবধারায় এবং প্রাচীন ভারতের গৌরবের গৌরবান্বিত অন্যদিকে তেমনি মানুষের জীবনে সমস্যার বিষয়ে আধুনিক মনোভাবপন্ন|প্রাচীন ও আধুনিক ভারতের মধ্যে তিনি ছিলেন একপ্রকার মিলন সেতু|

সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ

বিবেকানন্দ আমাদের যন্ত্রণার মধ্যে আশ্রয় দিয়েছেন, দুঃখের মধ্যে দিয়েছেন আশা-হতাশার মধ্যে সাহস|

উপসংহার

আপনি স্বামী বিবেকানন্দের সম্পর্কে জানলেন ও শিখলেন| আপনি তার সততা বিশ্বাস আর স্বামী বিবেকানন্দ কত দয়ালু ছিলেন এইসবও জানলেন, স্বামী বিবেকানন্দ সত্তিকারের এক মহান ব্যাক্তি ছিলেন|যত নামকরা যায় তা কম হবে, স্বামী বিবেকানন্দ ভালবাশা শান্তি বাঁধিয়ে রাখা ও একে অপরের একসাথে মানিয়ে নেওয়া কথা সবসময় জোর দিয়েছেন|আর আমাদের দায়িত্ব আমরা সবসময় মনে রাখি আর এটা যত বেশি লোকেদের কাছে পৌঁছাব, এই মহান কথার সাথে এই আর্টিকেল এখানেই সমাপ্ত হল.

আশাকরি স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী আপনাদের ভাল লেগেছে। সত্যি স্বামী বিবেকানন্দের এই মহান কর্ম বিশ্ববাসীর কাছে অনুপ্রেরণা. আমরা স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী সম্পর্কে যা শিখেছি আমাদের জীবনে কাজে লাগিয়ে আমরা সফল হতে পারি। তাই সকল স্বামী বিবেকানন্দ প্রেমী মানুষদের জানাই যে আপনারা আপনাদের নিজের জীবনে খুব সফলতা অর্জন করুন ও জীবনে এগিয়ে যান ধন্যবাদ……….

স্বামী বিবেকানন্দের FAQ

Swami Vivekananda FAQ

স্বামী বিবেকানন্দ 1863 খ্রিস্টাব্দের 12th January জন্ম গ্রহণ করেন।
১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই জানুয়ারি উত্তর কলকাতার সিমলাপাড়ার বিখ্যাত দত্ত পরিবারে নরেন্দ্রনাথ ওরফে স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ।
দুর্গা প্রসাদ দত্ত| স্বামীজীর ঠাকুরদাদা ছিলেন
ক্রিকেট-ফুটবল, ঘষাঘষি, লাফানো, ছোটাছুটি, মার্বেল